কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

২১ আগস্ট নিয়ে রিজভীর বক্তব্য ফৌজদারি অপরাধ: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ ও ফৌজদারি অপরাধ। এজন্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

‘বিএনপি নেতা রিজভী ২১ আগস্টের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ও বিদেশিদের দায়ী করছেন’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, মামলার সাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার হয়েছে। বিচারে অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। যেটি আদালতে মীমাংসিত এবং আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত সেটি নিয়ে এ ধরণের কথা বলা আদালতের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ।

সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সেচের সুবিধার্থে, কৃষির সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমানোর জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভর করে। এ সময় সেচের প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ধান বুনতে এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না। এখন যদি তাদেরকে আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই সেটি যে খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০ থেকে ১৫ দিন পরে দেওয়া শুরু করলে ততো কাজে লাগবে না।

এ সময় বিশ্বব্যাপী উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, উন্নত দেশগুলোসহ সমগ্র পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে তিনদিন স্কুল করা হচ্ছে। জার্মানিসহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো বিদ্যুৎ যায়নি সেখানেও নানা ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খরা চলছে। আমাদের দেশে যেন সে কারণে ফসলহানি না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা।

সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন-সফেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি  বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া বিশেষ অতিথি এবং কথাশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মজনু এবং এফবিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য রানা চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: